এনজাইম কি?
এনজাইম কি
এনজাইম হলো প্রোটিন জাতীয় পদার্থ যা অনুঘটকের ন্যায় ক্রিয়া প্রদর্শন করে অর্থাৎ রাসায়নিক বিক্রিয়াকে তরান্বিত করে কিন্তু বিক্রিয়ার শেষে অপরিবর্তিত থাকে
সাধারণত পরপথ এজ দ্বারা এনজাইমের নাম বোঝায়।
ক্যাটালিস্ট বা অনুঘটক হল এমন পদার্থ যার রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে।
এনজাইমের বৈশিষ্ট্য
➤ তাপ সংবেদী।
➤ প্রোটিন প্রকৃতির।
➤ ডায়ালাইসিস করা যায় না।
➤ সাবস্ট্রেট এর জন্য একটিভ সাইট বা সক্রিয় স্থান রয়েছে।
➤ বিক্রিয়ার পর অপরিবর্তিত থাকে।
➤ ক্যাটালাইটিক (অনুগঠন) ক্ষমতা রয়েছে।
➤ সাবস্ট্রেট ও বিক্রিয়া সাপেক্ষে উচ্চ পর্যায়ে নির্দিষ্টতা রয়েছে।
➤ বিক্রিয়ার সমতার পরিবর্তন না করে বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে।
➤ কিছু কিছু এনজাইনের প্রিয়ার জন্য কো-ফ্যাক্টর আবশ্যক।
➤ এনজাইম বিক্রিয়া ঘটায় না।
➤ উচ্চ তাপমাত্রা, পিএইচ, আল্টাবায়োলেট রে, ভারী ধাতু ইত্যাদি দ্বারা সক্রিয় কিংবা নিষ্ক্রিয় হতে পারে।
➤ ক্যাটালাইসি ক্ষমতা রয়েছে।
➤ অতি অল্প পরিমানে আবশ্যক।
সাবস্ট্রেট
রাসায়নিক বিক্রিয়ার যে বস্তুর উপর এনজাইম ক্রিয়া সম্পাদন করে পরিবর্তিত করে তাকে সাবস্ট্রেট বলা হয়। যেমন - দধি তৈরি একটি বিক্রিয়া যেখানে রেনিন নামক এনজাইম দুধে যুক্ত করা হয়। এখানে সাবস্ট্রেট হল দুধের প্রোটিন এবং এনজাইম হলো রেনিন।
এনজাইমের একটিভ সাইট বা সক্রিয় স্থান
এনজাইম অনুর একটি বিশেষ পকেট বা খাঁস রয়েছে যাকে অ্যাক্টিভ সাইট বলা হয়। একটিভ সাইটে এমাইনো এসিড শৃংখল রয়েছে যা সাবস্ট্রেটের জন্য ত্রিমাত্রিক তল তৈরি করে। অ্যাক্টিভ সাইট সাবস্ট্রেটকে বন্ধনে আবদ্ধ করে একটি এনজাইম সাবস্ট্রেট কমপ্লেক্স গঠন করে।
এনজামের স্পেসিফেসিটি বা নির্দিষ্টতা
এনজাইমের উচ্চ পর্যায়ে নির্দিষ্টতা রয়েছে অর্থাৎ নির্দিষ্ট এক বা একাধিক সাবসস্ট্রেট এর সাথে মিথস্ক্রিয়া প্রদর্শন করে এবং নির্দিষ্ট একটি বিক্রিয়ার অনুঘটন ক্রিয়া প্রদর্শন করে।
এনজাইমের বায়োমেডিকেল গুরুত্ব
☞ এনজাইম কোষ ও দেহের ক্রিয়ার জন্য অত্যাবশ্যক
☞ কিছু কিছু রোগ সরাসরি এনজাইেমর এর সাথে সম্পর্কিত ; যেমন - প্রোটিয়াজ ডেফিসিয়েন্সি।
☞ কিছু কিছু এনজাইম রয়েছে যেগুলো পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে রোগাবস্তাকে নির্দেশ করতে পারে।
☞ কিছু কিছু এনজাইম রোগ নির্ণয়ে ল্যাবরেটরীতে ব্যবহৃত হয়।
☞ এনজাইম ঔষধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় ।